এম.এ. লতিফ, আদালত প্রতিবেদক: [২] ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত ১২-এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে রোববার (৩ মার্চ) অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সাময়িক বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিনাত আক্তারের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য তারিখ ধার্য ছিল। রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৯ এপ্রিল নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

[৩] আসামি পক্ষের আইনজীবী মশিউর রহমান ‘আমাদের নতুন সময়’কে বিষয়টি জানিয়েছেন।

[৪] ২০ মার্চ, ২০১৯ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন। বিচারক অব্যাহতির আবেদন মঞ্জুর করে মামলা থেকে হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেন। ১৬ জুলাই, ২০১৯ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

[৫] মামলার অভিযোগে বলা হয়, ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে- এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের করে দেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একইরকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে অরিত্রীর বাবা-মা শান্তিনগরে বাসায় ফিরে দেখতে পান অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।

[৬] এ ঘটনায় ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ পল্টন থানায় অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী